রাতের আঁধারেও গণসমাবেশের পথে ভোলা বিএনপির নেতাকর্মী
বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে আগে থেকেই ভোলা ছাড়তে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। ধর্মঘট ও গণপরিবহন বন্ধের কারণে আজ শুক্রবার দ্বীপজেলা ভোলার সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের মতো বরিশালের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। তাই সমাবেশে যেতে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করতে হচ্ছে তাঁদের।
জানা যায়, গত বুধবার থেকেই ভোলার বিএনপি নেতাকর্মীরা যে যার মতো করে বরিশাল যেতে শুরু করেছেন। কেউ লঞ্চ কেউ বা ট্রলারে যাত্রা করেছেন। ভোলার মনপুরা, চরফ্যাশন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, বোরহানউদ্দিন এবং দৌলতখানের গত কয়েক দিনের চিত্র এমন।
শ্রমকিদলের নেতা মো. সোলেমান বলেন, ‘জীবন বাজি রেখেই বাড়ি থেকে বের হয়েছি। বাবা-মা বলেছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবি। কারও কাছে মাথা নত করবি না। প্রতিদিন মার না খেয়ে একদিন প্রতিরোধ করা ভালো।’
রাতের বেলা বরিশালের উদ্দেশে নেতাকর্মীদের নিয়ে রওনা দেওয়া মনপুরা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহাবুবুল আলম শাহীন বলেন, ‘রাতে অন্ধকার থাকায় কিছু দেখা যাচ্ছিল না। সব সময় মনে হচ্ছিল, কেউ হামলা করবে। তবে, আমরা কাউকেই ছেড়ে কথা বলব না। অনেক সহ্য করেছি আর না।’
মনপুরা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান মিলন মাতব্বর বলেন, ‘যেকোনো মূল্যেই সমাবেশে অংশ নেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। ভয়ের দিন শেষ। মনপুরা উপজেলা বিএনপির ঘাঁটি। তারপরও ক্ষমতাসীনরা আমাদের ওপর অনেক অত্যাচার জুলুম করে।’
ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। গত বুধবার আমাদের বাঁধা দিতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে একটি লঞ্চে। দেশের সাধারণ মানুষ আর এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না, তাই আজ জেগে ওঠেছে। ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই প্রতিবাদ করছে। একইসঙ্গে যেখানে বাঁধা আসছে, সেখানেই সবাই মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। ভোলার বিএনপি খুবই ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী। হামলা এড়াতে কৌশলে নেতাকর্মীরা আগে থেকে গণসমাবেশে অংশ নিতে যাচ্ছেন।’