রাবি উপাচার্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
পেনশনসহ পাওনা বেতন-ভাতার টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে আটকে রাখার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ের (রাবি) উপাচার্যসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুলের সাবেক অধ্যক্ষ মোমেনা জীনাত বাদী হয়ে রাজশাহী যুগ্ম জেলা জজ আদালত-১-এ মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এম এ বারী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবুল হাসান চৌধুরী এবং শেখ রাসেল মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোসা. লিসাইয়া মেহ্জাবীন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মোমেনা জীনাত ১৯৯৮ সালের ১ মার্চ শেখ রাসেল মডেল স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৫ সালে তিনি স্কুলটির অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গত বছরের ৩০ জুন তিনি অবসরে যান। তিনি ২০১৯ সালের জুন মাসের বকেয়া বেতন, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত পিআরএল এর বকেয়া বেতন, দুটি বোনাস, বৈশাখী ভাতা, অর্জিত ছুটির বিপরীতে প্রাপ্য টাকা, পূর্ণ অবসর বাবদ টাকা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন গ্র্যাচুইটি ভাতাসহ অন্যান্য পাওনা বাবদ ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৫ টাকা পান। এজন্য তিনি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু মোমেনা জীনাত তাঁর আবেদনের জবাব ও পাওনা টাকা পাননি। এজন্য তিনি উপাচার্যের কাছে গত বছরের ১১ জুলাই প্রথমবার এবং ২২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো লিখিত আবেদন করেন। এর পরও কাজ না হওয়ায় মোমেনা জীনাত ২০ নভেম্বর বিবাদীদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। সেখানে এক মাসের মধ্যে বাদীর সব পাওনা পরিশোধের জন্য বলা হয়। কিন্তু এখনো পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী নুর-এ কামরুজ্জামান ইরান জানান, আজ দুপুরে রাজশাহী যুগ্ম জেলা জজ আদালত-১-এর আদালতে মামলাটি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক জয়ন্তী রানী মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৯ অক্টোবর বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহান এ ব্যাপারে বলেন, ‘মামলার ব্যাপারে আমরা এখনো কিছুই জানি না। তাই এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না। যদি মামলা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে বিচারাধীন কোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য করলে তা আদালত অবমাননার পর্যায়ে পড়বে।’