রামগঞ্জে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় মামলা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর মনোনয়ন ফরম কেনার জের ধরে যুবলীগ নেতা রাসেদুল হাসানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় হামলাকারীদের শনাক্ত করে আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন যুবলীগনেতা ফিরোজ আলম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মামুন হোসেন, তানভীর, ছাত্রলীগনেতা জুনাইদ হোসেন, নাছির, খলিল, সবুজ ও ফারুক। তারা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. শাহাজাহানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আগামী ৩০ জানুয়ারি রামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্যে গতকাল বুধবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। গতকাল দুপুরেই রামগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে যুবলীগনেতা রাসেদুল হাসান উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। রাসেদ পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে দুপুরে রাশেদ সমর্থকদের নিয়ে রতনপুর এলাকায় তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরই বর্তমান কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজাহানের অনুসারীরা রাসেদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করে। এতে রাসেদের চারজন সমর্থক আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত সফিকুর রহমান ও জাকির হোসেন মোল্লাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পরে রাতে রাসেদ বাদী হয়ে ২৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
চিকিৎসাধীন আহত যুবলীগনেতা জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, ‘শাহজাহানের ভাতিজা মামুনের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন লোক আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ সময় আমাদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। কাউন্সিলর পদপ্রার্থী রাসেদের প্রতিষ্ঠানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে হামলাকারীরা।’
কাউন্সিলর পদপ্রার্থী রাসেদুল হাসান বলেন, ‘মনোনয়ন ফরম কেনায় কাউন্সিলর শাহাজাহানের লোকজন আমার প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছে। এ ঘটনায় আমি মামলা করেছি। জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর মো. শাহজাহান বলেন, ‘রাসেদের অনুসারীরা আগে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমার দুজন লোক আহত হয়েছে।’
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’