রাষ্ট্রপতি হওয়ার উপায় বলে দেবে চ্যাট জিপিটি

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : রয়টার্স

আধুনিকতার এই সময়ে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে ওপেন এআই প্রযুক্তি চ্যাট জিপিটি। টেক ব্লগাররা বলছেন এই চ্যাট জিপিটি একসময় গুগলকেও টেক্কা দেবে। 

চ্যাট জিপিটি হলো ওপেন এ আই এর চ্যাটবট। একটি এআই টুল, মেশিন লার্নিং ফিডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এই প্রযুক্তি। যা বিশ্বের সব ডেটা সংগ্রহ করে রেখেছে। অনবড়ত আপডেটও হচ্ছে।  

এই চ্যাট জিপিটি আপনার যেকোনো প্রশ্নের উত্তর সেকেন্ডের মধ্যে লিখিত আকারে দিয়ে দেবে। বলতে পারেন আপনার ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। আপনার যেই তথ্য প্রয়োজন প্রশ্ন করলেই সাজিয়ে উত্তর দেবে। আপনি গুগলে কোনো তথ্য সার্চ দিলে তারা কিন্তু ওই তথ্যবিষয়ক যত ওয়েবসাইট আছে সেটি দেখাবে আপনাকে। কিন্তু চ্যাট জিপিটি একজন মানুষের মতোই সব তথ্য বিশ্লেষণ করে আপনাকে সাজিয়ে টেক্সট আকারে লিখে দেবে। আপনি আর্টিকেল লিখবেন? টপিক দিয়ে দিন। চ্যাট জিপিটি উত্তর দিয়ে দিবে। গুগল প্লাগারিজম চেকার দিয়ে দেখবেন কোথাও থেকে কপি করা নেই।  

চ্যাট জিপিটি গত বছরের ডিসেম্বরে বাজারে আসে। এর জনপ্রিয়তা দেখে ওপেন এআই সম্প্রতি তাদের প্রফেশনাল প্ল্যান চালু করেছে। যাতে সাধারণ ব্যবহারকারীদের তুলনায় আরও ভালো পরিষেবা দেওয়া যায়। প্রফেশনাল মোড ব্যবহার করতে টাকা দিয়ে কিনতে হবে। 

চ্যাট জিপিটির ক্ষমতা ও জ্ঞানের বৈচিত্র্য জানতে, ব্যক্তিগতভাবে তাকে বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে একটি প্রশ্ন করা হয়েছে। যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে, কীভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া যাবে? চ্যাট জিপিটি স্বল্প সময়ের মধ্যেই মাত্র কয়েক লাইনে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। আপনি যদি এই প্রশ্নটি গুগল করেন, গুগল আপনাকে কতগুলো লিংক, নিউজ ও ভিডিও দেখাবে। মানে হলো ওয়েবসাইট গুলো ভিজিট করে গবেষণা করতে হবে আপনাকে। 

কী উত্তর দিলো চ্যাট জিপিটি? 

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য, একজন ব্যক্তিকে প্রথমে দেশের নাগরিক হতে হবে এবং নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির বয়স ন্যূনতম ৩৫ বছর হতে হবে এবং দেশের সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। তাদের অবশ্যই সাবলীলভাবে বাংলা বলতে এবং লিখতে সক্ষম হতে হবে।

এছাড়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হতে হলে একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই দেশের সংসদ সদস্য এবং প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হতে হবে। রাষ্ট্রপতি পাঁচ বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হন এবং সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের জন্য পুনরায় নির্বাচিত হতে পারেন।