রেলের উন্নয়নে অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে : রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলের উন্নয়নে আমরা অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছি। দেশের প্রতিটি জেলায় রেল সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত মিটার গেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর এবং খুলনা-দর্শনা সেকশনে নতুন ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রী এ কথা বলেন।
রেল ভবনে আয়োজিত এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে, একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। দেশের প্রতিটি জেলায় রেল সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। রেলের উন্নয়নে অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলোর কাজ চলমান আছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ এবং মিটারগেজে বিভক্ত। আমরা পর্যায়ক্রমে রেল ব্যবস্থাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করছি। ভারতের সকল রেললাইন ব্রডগেজে। আমরাও দেশের গেজ ব্যবস্থাকে একরকম ব্রডগেজে রূপান্তর করছি। এ ছাড়া রেললাইন সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে যে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, সবগুলোকেই আমরা ব্রডগেজ আকারে করছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ সহজ হবে। এ ছাড়া ঈশ্বরদী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনের প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি।’
মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ‘১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে যে ৮টি ইন্টারসেকশন বন্ধ হয়েছিল, ইতোমধ্যে তার ৫টি চালু হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হবে।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতীয় অর্থায়নে এ প্রকল্প দুটি নির্মিত হবে। ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
সেকশন দুটি নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরে রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘পার্বতীপুর কাউনিয়া ডুয়েল গেজ নির্মিত হলে ভবিষ্যতে আমরা ভারত ছাড়াও নেপাল, ভুটানের সাথে কানেক্টিভিটি বাড়াতে সক্ষম হব এবং এর ফলে আমাদের যাত্রীসহ মালামাল পরিবহণের সুযোগ বাড়বে।’
খুলনা-দর্শনা সেকশনে চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী এবং কনসালটেন্ট সার্ভিস ভারতীয় স্টুপ কনসালটেন্ট ও আরভি এসোসিয়েটস জয়েন্ট ভেঞ্চারের পক্ষে মো. আসাদ।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব সালোনি সাহাইসহ মন্ত্রণালয়, রেলওয়ে, ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক প্রতিনিধি এবং কনসালট্যান্ট সার্ভিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।