রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারে স্থিতিশীল পরিবেশ চায় বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘মিয়ানমার আমাদের নিকটতম বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক পরিবেশ বিরাজমান থাকবে এটাই আমরা প্রত্যাশা করি। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য দেশটিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজমান থাকা জরুরি।’
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন। আজ সোমবার মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শাসক দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে সে দেশের সেনাবাহিনী আটক করার ঘটনায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রণালয়টির উপ-তথ্য কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে আশা করে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। মিয়ানমারে স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজমান থাকলে তা উভয় দেশের জন্যই উপকারে আসবে।
এর আগে রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে আজ সোমবার ভোরের দিকে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট এবং এনএলডির কয়েকজন শীর্ষ নেতা দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে আটক হন। এরই মধ্যে দেশজুড়ে এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সেনাবাহিনী।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, তারা কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইংয়ের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে।