লক্ষ্মীপুরে চাচা হত্যায় ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে হারুনুর রশিদ হত্যায় তাঁর ভাতিজা আরিফ হোসেন রুবেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। একই সঙ্গে রুবেলকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দোষী প্রমাণ হওয়ায় রুবেলকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। জামিনে বের হয়ে আগে থেকেই তিনি পলাতক আছেন।’
দণ্ডপ্রাপ্ত রুবেলের বাড়ি সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হারুনুর রশিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় দিচ্ছিলেন। এর কিছুদিন আগে তিনি মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন।
হঠাৎ রুবেল হাজির হয়ে বাসায় ঢোকার জন্য তাঁর চাচিকে দরজা খুলতে বলেন। পরে হারুন নিজেই দরজা খুলে দেন।
দরজা খুলতেই রুবেল ধারালো ছুরি দিয়ে পেটে একের পর এক আঘাত করেন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় হারুনকে উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে ও পরে নোয়াখালীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরদিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতেই রুবেলকে আটক করে। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়।
একই দিন নিহতের স্ত্রী নাজমুন নাহার সুইটি বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে আটক রুবেলকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
একই বছর পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। দীর্ঘশুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় দিলেন।

আবুল কালাম আজাদ, লক্ষ্মীপুর