লড়াইকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাব : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র, বাংলাদেশ ও অর্থনীতিকে রক্ষা করতে আজকে গোটা বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করছি। আমরা সেই লড়াই করছি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং সুদূরে নির্বাসিত অবস্থায় থেকে এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে। সামগ্রিক অর্থে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া, বেঁচে থাকার অধিকারকে ফিরে পাওয়া, মুক্ত সমাজ অর্থনীতি, একটা সুখী সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্যই আজকে লড়াই করছি। আজকের এই দিনের শপথ হচ্ছে এই যে লড়াই, তাকে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাব এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব এবং দেশের মানুষকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।’
আজ সোমবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর শেষে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সেদিন স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে নতুন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে এনেছিল। বিপ্লবের সফলতার সিঁড়ি বেয়েই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির পথ পেয়েছি। আইনের শাসন, বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে এসেছিল।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৭ নভেম্বর শুধু দিবস নয় এটা ছিল বাংলাদেশের মানুষের ১৯৭১ সালে যে যুদ্ধ করেছিল সেই যুদ্ধের পরবর্তীতে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুসংগত করবার জন্য বাংলাদেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে দেশ রক্ষা করার শপথ। এর ধারাবাহিকতায় জিয়াউর রহমান ভয়াবহ একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মুক্তবাজার অর্থনীতি শুরু হয়েছিল, একই সঙ্গে তার দেওয়া বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভীসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।