শরণার্থী সংকটের কারণ পণ্ডিত ব্যক্তিরা জানেন : পরিকল্পনামন্ত্রী
শরণার্থী সংকটের কারণ পণ্ডিত ব্যক্তিরা জানেন উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় শরণার্থী সংকট আন্তর্জাতিক মারপ্যাঁচের খেলার অংশ বলেই মনে হয়।
আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকটবিষয়ক এক নীতিনির্ধারণী সংলাপের উদ্বোধনী পর্বে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ যৌথভাবে এ সংলাপের আয়োজন করে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, আন্তর্জাতিক যে মারপ্যাঁচের খেলা, সেখানে শুধু মিয়ানমার নয়, তুরস্কেও প্রায় ৪০ লাখ শরণার্থী আছে। পৃথিবীর আরও অনেক জায়গায় এ ধরনের শরণার্থীরা আছে।’
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বর্তমান সরকারের বার্তা সম্পর্কে এম এ মান্নান বলেন, ‘সবাই ভালো। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আরও ভালো। কিন্তু শেষবিচারে আমাদের নিজেদের ঘরে সমাধান খুঁজতে হবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিষয়, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং টানাপোড়োনের বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের মধ্যে সমাজের নিম্নস্তর পর্যন্ত শক্তিশালী ঐক্যের প্রয়োজন আছে। না হলে আমরা এ ধরনের বিষয়গুলো সমাধান করতে পারব না।’
সংলাপে ঢাবির সহউপাচার্য এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো দুরাশা। রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।’
সংলাপে আরও বক্তব্য দেন ঢাবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডেভিস স্টিভেনস, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি প্রেজেনটেটিভ প্রধান সু জিন রি, ঢাকায় অবস্থিত কানাডা দূতাবাসের হেড অব কোঅপারেশন (রোহিঙ্গা রিফিউজি রেসপন্স) বিবেক প্রকাশ প্রমুখ।