শান্তিময় পৃথিবীর প্রত্যাশায় মঙ্গল শোভাযাত্রা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবার চারুকলায় গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় দেখা গেছে, আয়োজনকে সফল করতে ভোর থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন আয়োজকরা। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুর জন্য অপেক্ষা করেন বিভিন্ন বয়সী ও শ্রেণি-পেশার মানুষ।
পুরোনো গ্লানি, হতাশা আর মলিনতাকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় নতুন বছর বরণ করতে কোনো অনীহা নেই তরুণদের মধ্যে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হওয়ার আগে থেকেই তাদের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্বর, দোয়েল চত্বরে তাদের উপস্থিতি দেখা গেছে। এছাড়া শোভাযাত্রায় অংশ নিতে প্রতি বছরের ন্যায় বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উপস্থিত হয়েছেন।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় পরিদর্শন শেষে শোভাযাত্রার আয়োজন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এবার বিশ্বজুড়ে থাকা হিংসা, হানাহানি ও যুদ্ধ থেকে মুক্তি এবং শান্তির প্রত্যাশা নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য করা হয়েছ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের বাণী ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’।
বাঙালির বর্ষবরণের অন্যতম মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান ও চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের তহবিল সংগ্রহের ওপর নির্ভর করে আয়োজন করা হয় এ শোভাযাত্রা।
এর আগে তহবিল সংগ্রহের প্রচারণা শুরু হয় গত ১৯ মার্চ থেকে। শুরুর দিকে রমজানের জন্য আয়োজনের পরিসর ছোট করার পরিকল্পনা করা হয়। তবে, শেষটা প্রত্যাশার থেকে ভালো হচ্ছে বলে জানান আয়োজকরা।
এদিকে এর আগে এদিন সকাল সোয়া ৬টায় রাগ যন্ত্রবাদনের মাধ্যমে রমনার বটমূলে প্রধান অনুষ্ঠান শুরু হয়। সকাল থেকে রমনার বটমূলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থেকে ছুটে আসা মানুষ হাজির হওয়া শুরু করেছেন। এবার অনুষ্ঠানমালায় ১০টি সম্মিলিত গান, ১১টি একক গান, দুটি আবৃত্তি এবং সবশেষ জাতীয় সংগীত রাখা হয়।