শিল্প উন্নয়ন নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে লজিস্টিকস শিল্প উন্নয়ন নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্বের অন্যান্য দেশের উত্তম দৃষ্টান্তগুলো অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ দেশিয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সহযোগিতা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত “ফরমুলেটিং ন্যাশনাল লজিস্টিকস ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট পলিসি ফর বাংলাদেশ: এক্সপেরিয়েন্স ফ্রম গ্লোবাল গুড প্রাকটিসেস”শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজ বুধবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী একথা বলেন।
সরকার দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, লজিস্টিকস খাত অবকাঠামোগত উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বিবেচনায় শিল্প মন্ত্রণালয় এটিকে রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং অগ্রাধিকার খাত হিসেবে জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ এ অন্তর্ভুক্ত করেছে। একই সাথে লজিস্টিকসের ২২টি উপখাতকেও জাতীয় শিল্প নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপ এবং বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) এর সহযোগিতায় দুদিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বিল্ড এর চেয়ারপারসন মিজ নিহাদ কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, বিশ্বব্যাংক দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ট্রান্সপোর্ট বিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার ড. সৌমিক রাজ মেহনদিরত্ত।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ডিজিটাল বিপ্লব ও অবকাঠামোখাতে উন্নয়নের উদ্যোগের জন্য এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। বেসরকারিখাতের অবদানও এ বিষয়ে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশের শিগগিরই উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটবে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য লজিস্টিকসখাতে খরচ কমিয়ে আনা জরুরি। বাংলাদেশে সড়ক যোগাযোগ নির্ভর মালামাল পরিবহণ ব্যবস্থা বিদ্যমান। অথচ বিশাল বদ্বীপের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌপথ কেন্দ্রিক পরিবহণ ব্যবস্থার সুফল পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেনি। একই অবস্থা রেলওয়ে খাতেও। বাংলাদেশের লজিস্টিকসখাতের উন্নয়নে ব্যবসার পরিবেশ আরও উন্নত করে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে গতিশীল করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সকল উপায়ে কাজ করতে হবে।