শীতে স্থবির উত্তরের জনজীবন

Looks like you've blocked notifications!
কুয়াশায় ঢেকে আছে উত্তরের জনপদ। ছবি : এনটিভি

হাড় কাঁপানো শীতে স্থবির উত্তরের জনজীবন। দুদিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। কনকনে ঠাণ্ডার সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। ঘন কুয়াশায় আশপাশের কিছু দেখা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। জেলায় জেলায় বেড়েছে শীতজনিত রোগ।

আজ শুক্রবার কুড়িগ্রামে রাজারহাটে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহে কাবু হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের মানুষ।

আবহাওয়া অফিস জানায়, কুড়িগ্রামে রাজারহাটে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। পাশাপাশি পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২  ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, জেলায় বেড়েছে শীতের দাপট। বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে ঘনকুয়াশার সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরেছে।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, জেলায় আজ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে শীতে হাওরপাড়ের মানুষ ও চা বাগান এলাকার শ্রমজীবীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগী। এদের মধ্যে শিশুই বেশি।

এ ছাড়া নাটোর, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও রাজশাহীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।