শুষ্ক মৌসুমেও ব্রহ্মপুত্রে চলবে নৌযান : নৌ-প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ব্রহ্মপুত্র নদে একসময় বড় বড় জাহাজ চলত। খননের অভাবে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। সেই নদে শুষ্ক মৌসুমেও নৌযান চলাচল উপযোগী করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে খনন। পাশাপাশি অন্যান্য নদ-নদী খননেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত ‘শুষ্ক মৌসুমে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদীতে প্রবাহ পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদ খননে পদক্ষেপ নিয়েছেন। শুধু পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নয়, অন্যান্য নদী খননেও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বদ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। এর কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। ব্রহ্মপুত্র নদে শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবাহ পুনরুদ্ধার এবং সারা বছর নিরাপদ নৌ-চলাচল নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিউটিএ পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদ খননের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ব্রহ্মপুত্র নদকে দ্বিতীয় শ্রেণির রুট হিসেবে উন্নত করলে বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকল রুটে ১১৬ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। ব্রহ্মপুত্র নদের মুখ খুলে দিলে তুরাগ ও বালু নদের প্রবাহ নিশ্চিত হবে। ঢাকার চারপাশের নদীর দূষণ কমে যাবে। বড় ধরনের সাফল্য আসবে। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রকল্প চলমান। নিচের দিকে অনেক খনন হয়েছে। মুখ খুলে দিতে পারলে সাফল্য আসবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নদী খননের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের বিষয়টি উল্লেখ করেন। সে অনুযায়ী কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো সরকার বা দল নৌপথ খননে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহণ বেড়ে গেছে। নৌপথে পণ্য পরিবহণে খরচ কম। অভ্যন্তরীণ নৌপথে নাব্য বজায় থাকলে সমুদ্রবন্দরগুলো অনেক বেশি গতিশীল হবে।’
বিআইডব্লিউটি এর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সত্যজিৎ কর্মকার, পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত, নেদারল্যা্ন্ডস দূতাবাসের প্রথম সচিব ফলকার্ট ডে জেগার, আইডব্লিউএমের নির্বাহী পরিচালক জহিরুল হক খান প্রমুখ।