শেরপুরে ১৭ দিন পর অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের ১৭ দিন পর শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নাকশী গারোপাহাড় থেকে অটোরিকশাচালক হোসেন আলীর লাশ উদ্ধার করেছে র্যাব ১৪-এর একটি দল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাকশী নওকুচির গভীর অরণ্য থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত হোসেন আলী (৩৫) শ্রীবরদী পৌর শহরের আশরাফ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশাচালক। হোসেন আলী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সুজন (২৮) ও সুমেল রানা (৩০) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সুজনের বাড়ি শ্রীবরদীর ভেলুয়া গ্রামে আর সুমেলের বাড়ি ঝিনাইগাতীর নওকুচিতে।
র্যাব ১৪-এর অধিকনাক (সিও) উইং কমান্ডার রুকনুজ্জামান জানান, গত ২৬ নভেম্বর শ্রীবরদী পৌর শহর থেকে নিজ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাত্রী নিয়ে বের হন নিহত হোসেন আলী। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। স্বজনরা খোঁজখবর করে না পেয়ে গত ২৯ নভেম্বর শ্রীবরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তী সময়ে নিহত হোসেনের বড় ভাই আবুল কাশেম ব্যাপারটি র্যাবকে জানান। র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। হোসেন আলীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের নম্বরের সূত্র ধরে সুজন ও সুমেলকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সুমেলের বাড়ির কাছের গভীর বন থেকে মাটিতে পোতা অবস্থায় হোসেন আলীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত হোসেনের স্বজনরা জানায়, দুই সন্তানের জনক হোসেন আলী সংসারের ভরণপোষণের জন্য অটোরিকশা চালাতেন। গত ২৬ নভেম্বর সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
এদিকে নিহত হোসেনের অটোরিকশাটি উদ্ধার করেছে শ্রীবরদী থানা পুলিশ।