‘সর্বাত্মক’ লকডাউনে সদরঘাটের নৌশ্রমিকদের কপালে ভাঁজ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী ১ জুলাই থেকে সারা দেশে ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন শুরু হচ্ছে। লকডাউনের আগেই ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করতে বাস, লঞ্চ ও ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে ঢাকার সদরঘাট থেকে কোনো লঞ্চ চলাচল করছে না। নতুন করে সর্বাত্মক লকডাউনের নির্দেশনা আসায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সদরঘাটে কর্মরত নৌযান শ্রমিকদের কপালে।
আজ শনিবার বিকেলে সদরঘাট ঘুরে দেখা যায়, লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশের সব গেট আটকানো। বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। টার্মিনাল একেবারেই ফাঁকা। মানা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।
এদিকে লঞ্চের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক সবাই চিন্তিত, লঞ্চ না চললে পরিবার চালাবেন কী করে?
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গত ২১ তারিখ দেওয়া বিধিনিষেধের কারণে বন্ধ আছে নৌচলাচল।
সুরভী-৯ লঞ্চের শ্রমিক সুমন বলেন, ‘সরকার লকডাউন দিছে, সব বন্ধ। সন্তানের মুখে দুই বেলা খাবার কেমনে দিমু আল্লাহ জানেন। আল্লাহ রহম করা ছাড়া বাঁচার উপায় নাই।’
সুন্দরবন-১০ লঞ্চের কর্মচারী আনিস বলেন, ‘এভাবে বারবার লকডাউন দিলে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। কী করব? কী খাব? সংসারটা কীভাবে চালাব?’
গত ২১ জুন সরকার ঢাকার আশপাশের সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে। সেদিন বিআইডব্লিউএ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে ২২ জুন সকাল ৬ ঘটিকা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাতটি জেলার (মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ) নৌচলাচলসহ ঢাকা থেকে সারা দেশের নৌচলাচল বন্ধ থাকবে। এ সময় সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ/স্পিডবোট/ট্রলার/অন্যান্য) চলাচল বন্ধ থাকবে। পণ্য পরিবহন এবং জরুরি সেবা প্রদানকারী নৌযানের ক্ষেত্রে এই আদেশ কার্যকর হবে না। অভ্যন্তরীণ নৌ পথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী নৌযানের মালিক মাস্টার ড্রাইভারসহ অন্যান্য স্টাফ যাত্রীসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে উক্ত নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করা হলো। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।