সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজন রিমান্ডে
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে তিনদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা চৌধুরী হিমেল এই আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আনোয়ারুল কবির বাবুল এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ পাঁচ আসামিকে হাজিরের পর সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ-থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নকীব অয়জুল হক। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক তিন দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
পিপি আরও বলেন, রিমান্ডকৃতরা হলেন, তাসরিফ-৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান (৪৮), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৭), এম ভি ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আবদুর রউফ (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খান (৭০)।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা লঞ্চের মালিকের পক্ষে অবৈধভাবে অধিক লাভবানের আশায় অতিরিক্ত ট্রিপ মারার জন্য বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে লঞ্চ চালিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু ঘটিয়েছে। এমতাবস্থায় এই মামলায় আরও চার/পাঁচজন আসামি পলাতক রয়েছে। এই পলাতক আসামিদের খুঁজতে, মূল ঘটনা নির্ণয় ও এই ঘটনার পিছনে কারও ইন্ধন আছে কি না তা উদঘাটনের লক্ষ্যে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া আবশ্যক।
নথি থেকে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সদরঘাট ১১ নং পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ ৪ নামে একটি লঞ্চ ও এমভি পূবালী-১ নামে আরও একটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামে আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচ যাত্রী লঞ্চে ওঠার সময় মা-সন্তানসহ গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন মো. বেল্লাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) এবং তাদের চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশা। নিহত অপর দুজন হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল (১৯) ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।
এ ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে বিআইডব্লিউটিএ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে (মামলা নং ২৯)।