সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতিতে অচল বেনাপোল স্থলবন্দর
কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ বাতিলসহ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মৌলিক অধিকার খর্ব করার প্রতিবাদে আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে দু’দিনের কর্মবিরতি চলছে বেনাপোল বন্দরে।
এর ফলে সকাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে বন্দর থেকে সব ধরনের মালামাল ডেলিভারি।
কাস্টমস হাউস ও বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দুই দেশের বন্দর এলাকায় শত শত পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। বিশেষ করে পচনশীল পণ্যসহ চাল, পান, মাছ ও গার্মেন্টসের কাঁচামাল খালাস বন্ধ থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছেন আমদানিকারকরা। বন্দরের পাঁচ হাজার শ্রমিক অলস সময় পার করছে সকাল থেকে । সিএন্ডএফ এজেন্টদের এর এই কর্মবিরতির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বন্দর ব্যবহারকারী পাঁচটি সংগঠন।
এদিকে, বিধিমালা সংশোধন করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
বেনাপোল সিএন্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি খাইরুজ্জামান মধু জানান, বিধিমালা জারির পর এর প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য ফেডারেশন কর্তৃক বার বার চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ জানানো হয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে। তারপরও কোনো ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে উত্থাপিত লাইসেন্সিং রুলের কয়েকটি বিধি ও উপ-বিধি সংশোধনীর প্রস্তাব করা হলেও তা আমলে নেয়নি রাজস্ব বোর্ড। এ কারণে গত বছর কয়েকবার কর্মবিরতি পালিত হয়।
দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড লাইসেন্সিং রুল সংশোধনের জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, এ বিষয়ে ফেডারেশনের নেতারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেও কার্যকর কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। আর তাতে সারা বাংলাদেশে কর্মরত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আগামী সাত দিনের মধ্যে ফেডারেশনের দেওয়া বিধি-বিধান সমূহ সংশোধন করার দাবি জানায় সংগঠনটি।