সিরাজগঞ্জে বাঁধ ভাঙনের কারণ খুঁজে পাচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড, আতঙ্কে এলাকাবাসী
সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ ভাঙনের কারণ খুঁজে পাচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। আজ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) উত্তর-পশ্চিঞ্চলের প্রধান (রাজশাহী) প্রকৌশলী এ কে এম শফিকুল হক।
এ কে এম শফিকুল হক বলেন, ‘বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা ছিল না। থাকলে আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতাম। যমুনা নদী কখন কীভাবে ভাঙে তা আগে থেকেই বলা যাবে না। তবে, আমাদের প্রস্তুতি আছে, কোনো জায়গায় ভাঙলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার। সুনামির মতো কোনো কারন খুঁজে পাচ্ছি না। সার্ভের রিপোর্ট পাঠিয়ে আমরা কারণ উদ্ঘাটন করব। তারপর আমরা বলতে পারব। এটি আকস্মিক ভাঙন। ভাঙনের পর পর জিও ব্যাগ ও ব্লক দিয়ে বাঁধ রক্ষা করা হচ্ছে।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের পুরাতন জেলখানা ঘাট এলাকায় ধস নামে। মুহূর্তের মধ্যে বাঁধের ১০০ মিটার যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। বাঁধ ধসে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জ শহরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ধস ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে। আরও কিছু অংশে ধস নামতে পারে, এজন্য লাল কাপড় উড়িয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাঁধের কোনো স্থানে আর যেন ধস না নামে সেজন্য প্রতিনিয়ত নদীর তলদেশে সার্ভে করা হচ্ছে। জেলার ৮০ কিলোমিটার নদীপথ ধস ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাঁধের ১০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢালের কারণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে বাঁধে হঠাৎ করে আঘাত হানায় তা ধসে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।