মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সুবিধা বঞ্চিত ৩০০ শিশুকে ঈদের উপহার প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে শিশুদের হাতে এই উপহার তুলে দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

এদিন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং পথশিশু পুনর্বাসন কর্মসূচির সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের ঈদ উপহার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল’ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং পথশিশু পুনর্বাসন প্রকল্পের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের ঈদ উপহার দেওয়া হচ্ছে। এটি অত্যন্ত শুভ উদ্যোগ। ঈদের নতুন পোশাক ও ইফতার সামগ্রী পেয়ে এই শিশুদের মুখে যে খুশির হাসি দেখছি, তার মূল্য অনেক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের লক্ষ্য কোনো শিশু যেন শিক্ষা, খাদ্য, চিকিৎসা ও তার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। সরকার শিশুদের শিক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। যেসব শিশু ঝরে পড়েছে বা সুবিধাবঞ্চিত তাদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সর্বস্তরের ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।’

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ‘ইসলামসহ সব ধর্মে এতিম ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কল্যাণ করার জন্য বলা হয়েছে। শিশুর শিক্ষা ও উন্নত জীবনের জন্য সরকারের পাশাপাশি নিকট আত্মীয়, বেসরকারি সংগঠন এবং সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সবাই যদি শিশুর কল্যাণে এগিয়ে আসি, তাহলে দেশের কোনো শিশু তার সুবিধা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, ‘পবিত্র রমজানে শিশুদের প্রতি ভালোবাসার শিক্ষা নিতে হবে। শিশুদের কল্যাণে আমাদের সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।’

ঈদের উপহার পেয়ে শিশুরা জানায়, নতুন জামা-কাপড় পেয়ে তারা অনেক খুশি। অন্য শিশুদের মতো তাদের এই ঈদ অনেক আনন্দের হবে। অনুষ্ঠানে শিশুরা হামদ-নাত পরিবেশন করে। 

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তারসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

আলোচনা পর্ব শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।