সেন্টমার্টিনে টেলি মেডিসিন সেবা উদ্বোধন
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/01/26/cox-pic.jpg)
কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১০ হাজার মানুষের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে উদ্বোধন হলো টেলি মেডিসিন সেবা। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে সেন্টমার্টিনে ২০ শয্যাবিশিষ্ট টেলি মেডিসিন সেন্টারটিতে উদ্বোধনের পর সেবাদান শুরু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম অনুষ্ঠানিকভাবে টেলি মেডিসিন সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের প্রথম দিনেই সেবার কর্যক্রম চালু হলো। সেবা নিয়েছেন সেন্টমার্টিন কোনারপাড়ার বাসিন্দা সাদিয়া খাতুন, শাসসুল ইসলাম ও দিলরুবা আক্তারসহ অনেকেই।
টেলিকমিউনিকেশনের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সে দেশের ভিবিন্ন জেলার ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা রোগীদের সেবা দিয়েছেন।
টেলি মেডিসিন সেবা পেয়ে সাদিয়া খাতুন আনন্দের সঙ্গে বলেন, সেন্টমার্টিন হাসপাতালে বসে ঢাকার বড় বড় ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পেরেছি। এটা খুব বেশি খুশি লাগছে।
স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া আকলিমা আক্তার বলেন, ‘আমরা কল্পনাও করতে পারছি না যে, সেন্টমার্টিনের মতো জায়গায় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে পারব। আমাদের দ্বীপবাসীর জন্য অনেক বড় সুখবর এটি। সেন্টমার্টিন বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আয়াতুল্লাহ খোমেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালকের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্বীপবাসীর জন্য একটি সি অ্যাম্বুল্যান্সের দাবি জানান। তিনি সারা বছর যেন এই টেলি মেডিসিন সেবা দ্বীপের মানুষের জন্য চালু থাকে এ বিষয়েও মহাপরিচালকের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ একটি রিমোট এরিয়া। এখানের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে টেলি মেডিসিন চালু হয়েছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসীকে আশ্বস্ত করে মহাপরিচালক বলেন, কুতুবদিয়ার মতো সেন্টমার্টিনেও সি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হবে। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সের বিষয়ে কথা বলব। বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল দেশ। বাংলাদেশ সরকার দেশের প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ডিজিটালাইজ চিকিৎসাসেবার আওতায় নিয়ে আসছে। যার বাস্তব চিত্র সেন্টমার্টিন হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরও একটি সফলতা। দেশের যেকোনো প্রান্তে বসে টেলি মেডিসিন সেবা নিতে পারবে দেশের জনগণ। ফার্মেসিতে হাতুড়ে ডাক্তারদের কাছে না গিয়ে দ্বীপের মানুষকে যেকোনো রোগ নিয়ে হাসপাতালমুখী হওয়ার আহ্বান করেছেন তিনি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শামসুল ইসলাম বলেন, সেন্টমার্টিন হাসপাতালে এখন নরমাল ডেলিভারি হচ্ছে। আগের তুলনায় আমরা দ্বীপের মানুষ ভালোই চিকিৎসাসেবা পাচ্ছি। তার মধ্যে আজকে টেলি মেডিসিন সেবা নামে আরো একটি সেবা সেন্টমার্টিন হাসপাতালে যুক্ত হয়েছে। তার জন্যে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অসংখ্য ধন্যবাদ।
টেলি মেডিসিন সেবা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মো. মাহবুবুর রহমান। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলী এহসান। কুতুবদিয়া, সদর ও চকরিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা।
এ সময় ডা. টিটু চন্দ্র শীল, ডা. রিয়াদ মাহমুদ, ডা. সাবরিনা, ডা. সৈকত, ডা. রমজান আলী, মোক্তার আহমেদ, রাশেদা আক্তার হ্যাপী, হাসিনা আক্তার, ইয়াছমিন আক্তার বৃষ্টিসহ ননগভমেন্ট অর্গানাইজেশন আরটিএম, শেড, ইউনিসেফের জেলা প্রতিনিধিদলের সদস্য ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।