সোনারগাঁয়ে মামুনুল হকসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে তিন মামলা
নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্টে হামলা, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামুনুল হকসহ হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার মামলা তিনটি করা হয়েছে। তিন মামলা ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত প্রায় ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে দুইটি ও ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক একটি মামলা করেছেন।
মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, রয়েল রিসোর্টে হামলা, ভাঙচুর, জনমনে ভীতি সঞ্চার ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচশ জনকে আসামি করা হয়েছে। তিনটি মামলাতেই মামুনুল হককে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মোস্তফা নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার আরও বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলা ও রিসোর্টের ঘটনার সময় তাকে দেখা গেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকেও তিনটি মামলায় আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক বুধবার সকালে বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলা ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তিনটি মামলাই তদন্ত করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা ও বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততা আছে এমন সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেছেন, 'পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় এজারহানামী ও অজ্ঞাতনামা মোট ৫২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাংবাদিকের করা মামলা ১৭ জন এজাহারনামীয়সহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি। অপরাধ প্রমাণিত হলে যে কেউ গ্রেপ্তার হতে পারে।'
গত শনিবার সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে অবস্থানের সময় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে স্থানীয় লোকজন গিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় মামুনুল হক যে কক্ষে ছিলেন সেই কক্ষে একজন নারীও ছিলেন। মামুনুল হক দাবি করেন, ওই নারী তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। তাঁকে তিনি শরিয়তসম্মতভাবে বিয়ে করেছেন।
সন্ধ্যার দিকে হেফাজতে ইসলামের অনুসারী কিছু লোকজন মামুনুল হককে ওই রিসোর্ট থেকে বের করে নিয়ে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধরা রয়েল রিসোর্ট, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়, নেতাকর্মীদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।