স্কুলছাত্রী সীমা ধর্ষণের পর হত্যা : ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী স্মৃতি নাথ সীমাকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় আজ মঙ্গলবার আটজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল ও নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামিরা হলেন- কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হিরণ (২৪), নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দহরপাড়া গ্রামের মানিক (৩০), তালিতপুর গ্রামের রাশেদ (২৫), রুদ্রপুর গ্রামের সুমন (২০), সুধারামের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের হেদায়েত উল্যা হেদু (৫০), চাটখিল উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের নুরনবী (২৭), সোনাইমুড়ি উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন ওরফে রুবেল (১৯) ও লক্ষ্মীপুর সদরের শ্রীরামপুর গ্রামের নুর আলম ওরফে নুরু (২২)।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মানিক, রাশেদ, সুমন ও রুবেল পলাতক রয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড থেকে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন (২৩) ও একলাশপুর গ্রামের সোহেল। এর মধ্যে সোহেল পলাতক রয়েছেন।
ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি করে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, এস এম শফিকুল ইসলাম কাজল। পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাফিজুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সামসুন নাহার লাইজু ও ফারহানা আফরোজ রুনা।
এর আগে, ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর স্মৃতি নাথ সীমাকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় নিম্ন আদালত। তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
সেই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ১৫ জন আসামিকে খালাস দেন আদালত।