স্বাস্থ্যসেবায় মেডিটেশনের অন্তর্ভুক্তিতে চিকিৎসা ব্যয় কমবে, অভিমত চিকিৎসকদের

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেমিনার আজ শুক্রবার সভাপতিত্ব করেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কথাসাহিত্যিক ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক। ছবি : কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাব

‘উদ্বেগ, বিষণ্নতা, স্ট্রেস, অনিদ্রা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকজনিত সমস্যা নিরসনে বিদ্যমান চিকিৎসাব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে মেডিটেশনকে অন্তর্ভুক্ত করায় স্বাগত জানিয়েছেন দেশবরেণ্য বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত। চিকিৎসাশাস্ত্রের কারিকুলামেও মেডিটেশন বিষয়কে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান তারা। 

আজ শুক্রবার (১২ মে) সকালে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে মেডিটেশনের অন্তর্ভুক্তি : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব কথা বলেন চিকিৎসকেরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন। সেমিনারে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের চার শতাধিক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।

কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাব কো-অর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কথাসাহিত্যিক ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এই কো-অর্ডিনেটর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউয়ের ফ্যাকাল্টি অব বেসিক সায়েন্স অ্যান্ড প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্সের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান এবং বিএসএমএমইউয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ। 

সেমিনারে ‘চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে মেডিটেশন’ শিরোনামে একটি তথ্যবহুল ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

প্রধান অতিথি ডা. শাহলা খাতুন বলেন, ‘চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা মানুষের দেহ ও মনকে ভুলে শুধুমাত্র রোগ নিরাময়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, কিন্তু রোগ নিরাময়ের পাাশাপাশি মনেরও চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসাশাস্ত্র প্রতিনিয়ত আধুনিক হচ্ছে। মেডিটেশনের মাধ্যমে ভালো চিন্তা জিনকেও বদলে দিতে পারে।’ 

মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবায় অন্তর্ভুক্ত করায় সরকারের প্রতি স্বাগত জানিয়ে ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, ‘মেডিটেশন চর্চায় স্বাস্থ্যব্যয় সাশ্রয় হয়, যা জাতীয় স্বাস্থ্য অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমি মনে করি, মেডিটেশনকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারলে স্বাস্থ্যখাতে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে।’ মেডিটেশনকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।