‘স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স’ পরীক্ষা চালুর পরামর্শ জিডিএলএসের
পৃথিবীর উন্নত অনেক দেশেই ‘গ্র্যাজুয়েটেড ড্রাইভার লাইসেন্সিং সিস্টেম (জিডিএলএস)’ চালু আছে। আমাদের দেশে এই ব্যবস্থা চালু হলে গাড়ি চালানোয় নিরাপত্তা আসবে। এমনটি দাবি করে তিন স্তরের ড্রাইভার লাইসেন্সিং পরীক্ষার এই পদ্ধতি চালুর পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ রোড সেফটি ভলান্টিয়ার্সের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মিয়াজী আলমগীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে নিরাপদে গাড়ি চালানোর উপায় বিষয়ক ‘প্রসঙ্গ: গ্রাজুয়েট ড্রাইভার লাইসেন্সিং সিস্টেম (জিডিএলএস)’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব পরামর্শ দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করে বাংলাদেশ রোড সেফটি ভলেন্টিয়ার্স।
গ্র্যাজুয়েটেড ড্রাইভার লাইসেন্সিং সিস্টেমের (জিডিএলএস) তিনটি ধাপের পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ রোড সেফটি ভলান্টিয়ার্সের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের এখন মাঠে নয়, বরং রাস্তায় সরেজমিনে ড্রাইভিং করে দক্ষতা দেখিয়ে পাস করতে হবে। যার মধ্য দিয়ে নতুন ড্রাইভার তৈরি হবে। প্রথমত, তারা একটি শিক্ষানবিশ পারমিট অর্জন করবে (লার্নার্স ড্রাইভিং লাইসেন্স)। এসময় তত্ত্বাবধানহীন অর্থাৎ ইনস্ট্রাক্টর ছাড়া ড্রাইভিং করা যাবে না এবং গাড়ির উপর লাল (L) চিহ্নিত বোর্ড বসাতে হবে।’
অ্যাডভোকেট মিয়াজী আলমগীর আলম চৌধুরী আরও বলেছেন, পাস করার পর এক বছরের জন্য একটি সীমাবদ্ধ প্রবেশনারি (P) বা অস্থায়ী লাইসেন্সে পাবে এবং গাড়ির উপর সবুজ (P) চিহ্নিত বোর্ড বসাতে হবে। এই এক বছর হাইওয়ে এবং এক্সপ্রেসওয়েতে ড্রাইভিং নিষিদ্ধ থাকবে।
তৃতীয়ত, যারা পাস করার পর একবছর সফলভাবে কোনোপ্রকার এক্সিডেন্ট রেকর্ড ছাড়া গাড়ি চালাবে, তারাই শুধুমাত্র একটি সম্পূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ রোড় সেফটি ভলান্টিয়ার্সের চেয়ারম্যান মিয়াজী আলমগীর আলম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, ‘পুরনো পরীক্ষা পদ্ধতি দিয়ে মোটর সাইকেল এবং গাড়ির লাইসেন্স পাওয়া বন্ধ করতে হবে। মোটর সাইকেল, বাস ও ট্রাকসহ সকল যানের জন্য আলাদা ব্যবহারিক পরীক্ষা হতে হবে। পাশাপাশি যে রাস্তায় এ পরীক্ষা হবে সে রাস্তায় তথ্য, পরামর্শ ও নির্দেশিকা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়মগুলোর উপর সংশ্লিষ্ট আইনের উল্লেখও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।’
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম শাকিল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিয়াসমিন মিলা, অ্যাডভোকেট মো. আরিফ হাসান।