রাজধানীর পাইকপাড়ায় সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে রাখা রড, ইট ও বালুসহ অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ শনিবার ডেঙ্গুবিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানের সময় সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে রাখা বিপুল নির্মাণসামগ্রী দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। পরে তা জব্দ করে উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়।

জানা গেছে, ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াঙ্কার নেতৃত্বে নির্মাণসামগ্রীগুলো জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো উন্মুক্ত নিলামে তোলা হয়। ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় নির্মাণসামগ্রীগুলো বিক্রি হয়।

এ সময় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভার সন্ধানে অভিযানে এসে দেখি, বিপুল পরিমাণ রড, ইট, বালু ও অন্যান্য সামগ্রী রাস্তার ওপরে এবং ফুটপাতে রেখে দেওয়া হয়েছে। তাদের রাখা বালুর কারণে ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে গেছে। রাস্তায় পানি জমে আছে। জনগণের চলাচল বাধাগ্রস্ত করে ফুটপাত ও রাস্তায় এসব নির্মাণসামগ্রী রাখা অন্যায়, সেটা সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘সরকারি ভবন নির্মাণ প্রকল্প বলেই আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। জনগণের দুর্ভোগ যেন না হয়, পানি জমে এডিসের লার্ভা যেন না জন্মায়, এগুলোতে বিশেষ নজর রাখতে হবে। শুধু মিরপুরে নয়, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। কিছুতেই জনগণের ভোগান্তি হতে দেওয়া যাবে না।’

ডেঙ্গুর নিয়ন্ত্রণে জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণের সচেতনতা জরুরি। এবছর বর্ষার শুরু থেকেই আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। বিগত সময়ের তুলনায় ডেঙ্গুকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতা পেলে ডেঙ্গুকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। স্বচ্ছ পানি জমতে দেওয়া যাবে না। বাসার বারান্দা ও ছাদবাগান নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৪৪টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে, জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।