সড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু বেড়েছে : যাত্রী কল্যাণ সমিতি
কোভিডের মহামারির কারণে প্রায় তিন মাস গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও আগের বছরের চেয়ে ২০২১ সালে সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা ও মৃত্যু—দুটোই বেড়েছে বলে জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত যাত্রী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক প্রতিবেদন এমনটি জানানো হয়।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, ‘গত বছর পাঁচ হাজার ৬২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে সাত হাজার ৮০৯ জনের, যা ২০২০ সালের চেয়ে এক হাজার ১২৩ জন বেশি। দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে ৭৩৮টি।
এসব দুর্ঘটনার ৫৪ শতাংশই গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা বলে জানায় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সড়ক উন্নয়নে বিনিয়োগ করা হলেও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো, আধুনিক গণপরিবহণ ব্যবস্থার পরিবর্তে টুকটুকি, ইজিবাইক সিএনজিচালিত অটোরিকশার দিকে ধাবিত হওয়ার কারণে দুর্ঘটনা বেপরোয়াভাবে বাড়ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মী নুর খান বলেন, ‘দূরপাল্লার সড়কের গাড়িচালকেরা দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালান। কারণ, মালিকের পক্ষে আট ঘণ্টা - ছয় ঘণ্টার পর বিশ্রাম দিলে যে ব্যয় পড়ে, সেটা কমিয়ে আনার জন্য মালিকেরা ১২ ঘণ্টা থেকে ১৪ ঘণ্টা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত চালকদের দিয়ে গাড়ি চালান।’
পরিবহণ মালিক -শ্রমিকদের নৈরাজ্যসহ সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে ১৬টি কারণ চিহ্নিত করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। পাশাপাশি দুর্ঘটনা রোধে ১২ দফা সুপারিশও তুলে ধরে সংস্থাটি।