সড়ক নয়, যেন মরণফাঁদ
ফরিদপুরে জেলা-উপজেলার অনেক সড়ক যেন আজ মরণফাঁদ। কোথাও কোথাও চেনার উপায় নেই যে, এটি মাটির রাস্তা না, পিচঢালা সড়ক। একটু বৃষ্টির হলেই এসব সড়কে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
জেলা শহরের মুজিব সড়ক হয়ে সিঅ্যান্ডবি ঘাটে যাওয়ার সময় মাটির ট্রাক চলাচলের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই সড়কের লেকপাড় এলাকা থেকে ঘাট পর্যন্ত মাটির আস্তরণের কারণে মূল সড়ক গায়েব হয়ে গেছে। দেখে মনে হবে এটি একটি কাঁচা রাস্তা।
ওই এলাকার কোবাদ নামের একজন বলেন, এই সড়কের যা অবস্থা, একটু বৃষ্টি হলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তিনি বলেন, অতি দ্রুত এসব এলাকার ইটভাটার মালিকদের উচিত হবে সড়কের মাটি সরিয়ে দেওয়া।
একইভাবে অম্বিকাপুর সড়কে ইটভাটার মাটির ট্রাক যাওয়ায় অনেক জায়গায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের সড়কের একই অবস্থা। প্রথমে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি পাকা না, কাঁচা রাস্তা। তবে সড়কের ওপর দিয়ে চলতে গেলে বোঝা যায় সড়কটি পাকা।
গতকাল শনিবার দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টিতে সড়কের ওপর জমে থাকা মাটি ও ধুলোয় সড়কটিতে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, এই সড়ক দিয়ে সবসময় ইটভাটার ট্রাক, ট্রাক্টর ও ভ্যান চলে। অতিরিক্ত মাটি নিয়ে চলাচল করায় ওইসব বাহন থেকে প্রতিনিয়তই মাটি সড়কে পড়ে জমে থাকে। দীর্ঘদিন পর বৃষ্টি হওয়ায় ওইসব মাটি কাদায় পরিণত হয়ে সড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার লোকজন।
ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগে যোগাযোগ করা হলে নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার রুমি বলেন, এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইটভাটার মালিকদের আগেই নোটিশ করা হয়েছে। এখনও যারা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুধু এই সড়কগুলোয় নয়, জেলা-উপজেলার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়ক এখন মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টি হলে এসব সড়কে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়তে হবে মোটরসাইকেল চালকদের।
অনেকের অভিযোগ, ইটভাটার যানগুলো ধারণক্ষমতার অধিক মাটি বহন করায় সেসব মাটি সড়কে পড়ে। শুকনো মৌসুমে ওইসব মাটি ধুলোয় পরিণত হয় আর বর্ষায় কাদা। ফলে সারা বছরই তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ এসব সড়কে চলাচলের সুবিধার্থে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর। অন্যথায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা বর্ষা মৌসুমে।