হাশেম ফুডসের কারখানায় মিলল আরও তিন শ্রমিকের হাড়
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডসের কারখানায় পাওয়া গেল অগ্নিদগ্ধ আরও তিন শ্রমিকের শরীরের হাড়ের অংশবিশেষ। নিখোঁজ তিন শ্রমিকের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দিনব্যাপী তল্লাশি চালিয়ে তিনটি মানব দেহের হাড়ের অংশ বিশেষ পেয়েছে। হাড়গুলোর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সিআইডির পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন।
পুলিশ জানায়, আগুনের ঘটনার পর পরই হাসেম ফুডসের সেজান জুস কারখানার ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। কয়েক দিন আগে ওই কারখানার শ্রমিক মহিউদ্দিন, লাবনী ও সাজ্জাদের পরিবারের অভিভাবকরা আবেদন করে উল্লেখিত তিন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ কারখানায় ফায়ার সার্ভিস ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ব্যাপক তল্লাশি চালায়। এ সময় চারতলার এক কোনে তিনটি মানবদেহের অংশবিশেষ হাড় পাওয়া যায়।
গত ৮ জুলাই বিকেলের দিকে হাশেম ফুডসের কারখানার নিচতলায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভবনের উপরের তলাগুলোতে। এ সময় কর্মরত শ্রমিকরা লাফিয়ে জীবন বাঁচাতে গিয়ে তিনজনের মৃত্য হয়। পরের দিন আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে আরও ৫৮ শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে ডিএনএ পরীক্ষার পর নিহত ৫১ জনের মধ্যে ৪৫ শ্রমিকের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আরও ছয়জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রয়েছে।