হাশেম ফুডসে হতাহতদের ক্ষতিপূরণে রিট আবেদন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে কোটি টাকা এবং আহতদের ৩৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
আইনজীবী শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, চারটি সংগঠনের পক্ষে আজ রোববার এ আবেদন করা হয়। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে নিয়ম অনুযায়ী জরুরি বিবেচনায় এ চারটি সংগঠনের পক্ষে আবেদনটি গতকাল শনিবার ১০ জুলাই রাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবরে ই-মেইল করা হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এবং সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটির পক্ষে এ আবেদন করা হয়।

শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ডিআইজি (ঢাকা রেঞ্জ), নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি), রূপগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), জেলার সিভিল সার্জন, ফায়ার সার্ভিস, হাসেম ফুডস লিমিটেড এবং হাসেম ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
আবেদনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে কোটি টাকা করে এবং আহতদের ৩৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ করে এবং আহতদের পাঁচ লাখ টাকা করে টাকা দিতে আবেদনে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল ও আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

গত ৮ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানাটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ২৯ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ সময়ের মধ্যে ৫২ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন বহু শ্রমিক।
এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে গতকাল শনিবার আটজনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে নারায়ণগঞ্জের আদালত।
গ্রেপ্তার আটজন হলেন- সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম, তার ছেলে হাসীব বিন হাসেম ওরফে সজীব, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম, তানজীম ইব্রাহীম, শাহান শান আজাদ, মামুনুর রশিদ ও মো. সালাউদ্দিন।