বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীতে গণমিছিল করেছে নবগঠিত জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট (১১ দল)।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আজ শুক্রবার বিকেলে শুরু হয়ে গণমিছিলটি পল্টন হয়ে বিজয়নগর ঘুরে পুনরায় প্রেসক্লাবে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে আগামী ১১ জানুয়ারি রাজধানীতে জোটের পক্ষ থেকে গণ-অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

গণমিছিলে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ,  মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, ডিএল এর শাহাদাত সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, মো. আকবর হোসেন, পিপলস লীগের অ্যাডভোকেট গরীবে নেওয়াজ ও সৈয়দ মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাপের এম এন শাওন সাদেকী ও দিলীপ কুমার দাস, বিকল্পধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সাম্যবাদী দলের নূরুল ইসলাম, গণদলের এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী ও আবু সৈয়দ, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা আকন্দ এবং মাইনরিটি পার্টির সুকৃতি মণ্ডলসহ জোটের নেতারা অংশ নেন। মিছিলে জোটের শরিকরা নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে গণমিছিলে অংশ নেন।

গণমিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এনপিপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, সরকারকে সংসদ ভেঙে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেওয়া হবে না। দেশে জানমালের নিরাপত্তা নেই। দ্রব্যমূল্য লাগামহীন। এদিকে সরকারের কোনো নজর নেই। তারা ব্যস্ত লুটপাটে। সরকারের সময় শেষ, তাই যে যেভাবে পারছে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে। পালানোর পথ নেই। সকল অন্যায় ও দুর্নীতির বিচার এদেশের জনগণ করবেই।