২৬ বছর পর মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরায় দীর্ঘ ২৬ বছর পালিয়ে থেকে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল আজিজ সরদার (৫৩)। আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে পলাতক ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার সুলতানপুরে।
আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লোকমান হোসেন।
এসআই লোকমান জানান, তাঁর নেতৃত্বে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আনিসুর রহমান ও কনস্টেবল লেলিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পলাতক আসামি আব্দুল আজিজকে তার ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কিশোরগঞ্জে পালিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় তার ভাইয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
১৯৯৭ সালের ২০ এপ্রিল বিকেলে সুলতানপুরে নিজ বাড়িতে আব্দুল আজিজ তার স্ত্রী রেহানা পারভিনকে ৮০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনার পরের দিন রেহানার চাচা গোবরদাড়ি গ্রামের শওকত আলী সরদার বাদী হয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় আব্দুল আজিজ ও তার ভাই রুহুল কুদ্দুসসহ মোট পাঁচ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন আসামি আব্দুল আজিজ। ১৯৯৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম তাঁর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু জানান, ১২ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামি আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ২৬ বছর তিনি পলাতক থাকার পর আজ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। রায় ঘোষণার বেশ কয়েক বছর আগে মামলার আরেক আসামি আব্দুল আজিজের ভাই রুহুল কুদ্দুস মারা যান।