দীর্ঘ ৫৫ বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের জলপাইগুড়ির হলদিবাড়ির মধ্যে রেল পরিষেবা চালু হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার চিলাহাটি-হলিদাবাড়ি রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেখ হাসিনা ও দিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন।

ব্রিটিশ ভারতে এই রেলপথে ট্রেন চলাচল ছিল। রেলকে কেন্দ্র করে এলাকাটির আর্থিক দিক থেকে তখন বেশ উন্নয়নও হয়। কিন্তু দেশভাগের পর ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় এই পথটি বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে সেটি বন্ধই ছিল। এখন সেই পথে ফের রেল যোগাযোগ চালু হলো।   

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ভার্চুয়াল বৈঠক আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : সংগৃহীত

বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের মধ্যকার সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো প্রসারিত করে ঢাকা-দিল্লির ‘মজবুত ও ঐতিহাসিক’ সম্পর্ককে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে বের করবে।

এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বৈঠক শেষে দুপুর আড়াইটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংবাদ সম্মেলন করবেন।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে দুই দেশ সব মানুষের কল্যাণে এক নিরাপদ দক্ষিণ এশিয়া প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

এদিকে ভার্চুয়াল বৈঠকের আগেই দুই দেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সমঝোতা স্মারক সই হয়। ভারতের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী চুক্তিগুলোতে সই করেন।

দুই দেশের মধ্যে যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে সেগুলো হলো বাংলাদেশ-ভারত সিইও ফোরামের টার্ম অব রেফারেন্স, কৃষিখাতে সহযোগিতা, হাইড্রোকার্বন বিষয়ে রূপরেখা, হাতি সংরক্ষণ বিষয়ে সহযোগিতা, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল জাদুঘর ও নয়াদিল্লি জাদুঘরের মধ্যে সহযোগিতা, হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প চালু ও বরিশালের স্যুয়ারেজ প্রকল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক।