৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে জাতীয় চা পুরস্কার
আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পাবে জাতীয় চা পুরস্কার। সরকার দেশে প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার প্রদান করতে যাচ্ছে। আজ সোমবার (২২ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা দেন।
যে আটটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হবে সেগুলো হলো—একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান, সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান, শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী, শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, বৈচিত্রময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি এবং শ্রেষ্ঠ চা-পাতা চয়নকারী ব্যক্তি বা শ্রমিক।
সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জুন ১৯৫৭ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যানের পদ অলংকৃত করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অবদানকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হয়।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশের চা শিল্পের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং এর অংশীজন হিসেবে চা বাগান মালিক, চা উৎপাদনকারী এবং প্যাকেজিং বিপণন কোম্পানিসহ চা শিল্পে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন তাদের নিজনিজ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন। এসব প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন ও ব্যক্তির অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই জাতীয় চা পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’