ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে
কিশোরগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী (১০) ধর্ষণের অভিযোগে আটক মাদ্রাসাশিক্ষক জয়নাল আবেদীনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে জয়নাল আবেদীনকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এস এম রাজিবুল হাসানের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় বিচারক আসামিপক্ষের আইনজীবীর আবেদন নাকচ করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে এনটিভি অনলাইনকে জানান, এর আগে বিচারক তাঁর ব্যক্তিগত কক্ষে নির্যাতিত ছাত্রীর জবানবন্দি নেন।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে তিন সদস্যের চিকিৎসক দল ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোখলেসুর রহমান।
নির্যাতিত ছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সেই সঙ্গে কোরআন শরিফ পড়তে প্রতিদিন সকালে তাঁর মেয়ে গ্রামের একটি মাদ্রাসায় যায়। গত সোমবার সকাল ৯টায় মেয়ে মাদ্রাসা থেকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরে। কারণ জানতে চাইলে সে জানায়, মাদ্রাসা ছুটির পর শিক্ষক জয়নাল মিয়া অন্য শিক্ষার্থীদের বিদায় দিলেও তাকে কৌশলে আটকে রাখে। পরে একটি কক্ষে নিয়ে মুখ রুমাল দিয়ে বেঁধে পাশবিক নির্যাতন করে।
এই ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে তাঁর বাড়ি থেকে আটক করে। পরে গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে কটিয়াদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।

মারুফ আহমেদ, কিশোরগঞ্জ