বান্দরবানে ভর্তুকির সার কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ
বান্দরবানের আলীকদমে সরকারের ভর্তুকি দেওয়া কৃষকের সার এক ডিলার কালোবাজারে তামাকচাষিদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সার মজুদ রেখে তা তামাকচাষিদের কাছে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ এনে কুরুকপাতা ইউনিয়নের মো. ফরহাদ উদ্দিন নামের এক ডিলারের বিরুদ্ধে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও আলীকদম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।
কৃষি কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৃষি কার্যালয় থেকে আলীকদম উপজেলার চারটি ইউনিয়নের জন্য ৮৫ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কুরুকপাতায় ৩১ দশমিক ৫ মেট্রিক টন, নয়পাড়ায় ১৯ মেট্রিক টন, চৈক্ষ্যংয়ে সাড়ে ১২ মেট্রিক টন এবং আলীকদম সদর ইউনিয়নে ১৯ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। সরকারিভাবে কৃষকের জন্য প্রতি কেজি সারে ১৮ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত সার স্থানীয় কিছু অসাধু ডিলার কালোবাজারে তামাকচাষিদের কাছে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করে দিচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন, সরকারের বরাদ্দকৃত সার এখনো কুরুকপাতা ইউনিয়নের পৌঁছায়নি। সারের চাহিদা থাকার পরও কৃষকরা সরকারের ভর্তুকি দেওয়া সার পাচ্ছেন না। অভিযুক্ত ডিলার মো. ফরহাদ উদ্দিন চৈক্ষ্যং ইউনিয়নে একটি অস্থায়ী গুদামে বরাদ্দের সার মজুদ রেখে গোপনে তা তামাকচাষিদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সার ডিলার মো. ফরহাদ উদ্দিন বলেন, ‘কৃষি কার্যালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া সার আমি সরকারি গুদাম থেকে তুলেছি। অতিরিক্ত কোনো সার মজুদ করিনি। কৃষকের চাহিদামতো সার সরবরাহ করা হচ্ছে। তামাকচাষিদের কাছে কোনো সার বিক্রি করা হচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে আলীকদম উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মামুন ইয়াকুব বলেন, চাহিদা অনুপাতে চারটি ইউনিয়নের ডিলারদের সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ঝামেলা চোখে পড়েনি। তবে অবৈধভাবে কালোবাজারে সার বিক্রির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।