ইসি গঠনে আইন চায় বাসদ, জাসদ চায় সার্চ কমিটি
নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। অন্যদিকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের সমন্বয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আজ সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছে ওই দুই দল।
বঙ্গভবন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করে বাসদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা সুপারিশ করা হয়।
বাসদের নেতারা নির্বাচন কমিশনকে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্র এই চার স্তরে ভাগ করার প্রস্তাব করেন। এ সময় একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আট বিভাগের জন্য আটজন কমিশনারসহ মোট নয় সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেয় বাসদ। এ ছাড়া সার্চ কমিটি বা সিলেক্ট কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন বাসদ নেতৃবৃন্দ। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি জাতীয় বাজেটে নির্বাচন কমিশনের জন্য পৃথক বাজেটের প্রস্তাবও দেন তাঁরা।
এ ছাড়া দলটি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সংবিধানের চার মূলনীতিতে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের নিয়োগের প্রস্তাব করে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনও যেন নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে করতে পারে এ ব্যাপারে সুপারিশ করে বাসদ।
এ সময় বাসদের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘জাতীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্য জরুরি।’ নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠনমূলক প্রস্তাব দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি তাঁদের ধন্যবাদ জানান।
সার্চ কমিটি চায় জাসদ (আম্বিয়া)
শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
দলের নেতারা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাষ্ট্রপতির উদ্যোগের প্রশংসা করেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের সমন্বয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাবসহ পাঁচ দফা সুপারিশ করেন তাঁরা।
আলোচনায় দলের নেতারা বলেন, ‘একসঙ্গে পাঁচজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ না দিয়ে একাধিক ধাপে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। তা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ব্যক্তিদের নিয়ে সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন।’
এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ওই প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ওপর সাধারণ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ।’ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাব ও মতামত তা অর্জনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
আলোচনার সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. সরোয়ার হোসেন এবং প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।