পৌষ শেষে উত্তরে জেঁকে বসেছে শীত
কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় কুড়িগ্রামের জনজীবন বিপর্যস্ত। দুদিন আগে এর সঙ্গে ছিল রাতভর ঝমঝম করে বৃষ্টির মতো কুয়াশা। উত্তরের হিমেল হাওয়া শীতের মাত্রা বাড়াচ্ছিল দিনকে দিন।
আজ শুক্রবার অর্থাৎ পৌষ মাসের শেষ দিনে কুড়িগ্রাম আর আশপাশের জেলায় যেন সেই শীত একেবারে জেঁকে বসেছে। জেলার রাজারহাট উপজেলায় তাপমাত্রা কমে নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশের জেলা নীলফামারীর ডিমলায় তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সৈয়দপুরে ৬ দশমিক ৬ সেলসিয়াস।
রংপুর বিভাগের রংপুর আর দিনাজপুরে শীতের প্রকোপে জবুথবু জীবন। উত্তরের এ দুই জেলায় তাপমাত্রা সাড়ে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
এই অবস্থার মধ্যে আজ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শেষ রাত থেকে আগামীকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র মৃদু শৈত্যপ্রবাহ; রাজশাহী বিভাগ, রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, সীতাকুণ্ড, রাঙামাটি, শ্রীমঙ্গল ও কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহের এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে এবং বিস্তার লাভ করতে পারে। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
রাজশাহী বিভাগের তাপমাত্রা সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ওঠানামা করছে। তুলনামূলকভাবে উষ্ণ অবস্থানে আছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ। সবচেয়ে বেশি তাপামাত্রা আজ রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়া সম্পর্কে জানানো হয়েছে, আবহাওয়ায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে।
আবহাওয়ার সংক্ষিপ্তসারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।