আদিবাসী নারী ধর্ষণ মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/01/photo-1433165717.jpg)
রাজধানীতে আদিবাসী নারী ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার বাকি তিন আসামিকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে চার ছাত্র সংগঠন।
আজ সোমবার এ দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন, বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠন, চানচিয়া ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। চার ছাত্র সংগঠনের পাঠানো যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত মল্লিকের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজেয় বাংলায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ওই চার সংগঠন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে দোয়েল চত্বর এলাকায় পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ফেললে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। পরে পুলিশি বাধার মুখে ঘটনাস্থলেই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সৈকত মল্লিক বলেন, ‘ধর্ষিতা নারী যেখানে পাঁচজন ধর্ষকের কথা উল্লেখ করেন সেখানে পুলিশ মাত্র দুজনকে গ্রেপ্তার করে অন্য তিনজনকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। এই রাষ্ট্র যৌন সন্ত্রাসীর কথা শোনে কিন্তু যারা নিপীড়িত হন, ধর্ষিত হন তাঁদের কথা শোনে না। আগামী সাত দিনের মধ্যে গারো নারী ধর্ষণের সাথে জড়িত পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনুন।’
চানচিয়ার সমন্বয়ক অ্যান্থনি রেমা বলেন, ‘বর্তমান সরকার নারীবান্ধব নয়, আদিবাসীবান্ধবও নয়; এ সরকার ধর্ষক-নিপীড়কের পক্ষের অগণতান্ত্রিক সরকার।’
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল বলেন, ‘জনগণের টাকায় শাসকগোষ্ঠী নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বহুস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে অথচ জনগণের নিরাপত্তার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।’
গারো ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা অলিক মৃ নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে পাহাড়-সমতলে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ লড়াই গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন গারো ছাত্র সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি পাপ্পু ডিও, বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠন ঢাকা মহানগর শাখার সহসভাপতি তমাল হাজং, আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত ধামাইসহ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, পিসিপি ও আদিবাসী স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের নেতারা।