ছাত্রলীগ সভাপতি, সম্পাদকসহ ১০ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আশরাফুল আলমকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে জেলা যুবলীগের এক সদস্য রয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর মুখ্য বিচারিক আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী এ রায় দেন।
এদিকে দণ্ডাদেশ পাওয়া নেতাকর্মীদের আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার পথে লক্ষ্মীপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মামলার এজাহার ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর শহরের আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আশরাফুল আলমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর আহতের বাবা অ্যাডভোকেট মো. বদরুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিচারক সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব হোসেন লোটাস, সহসভাপতি কে এম বাপ্পী কবির (পালসার বাপ্পী) ও জেলা যুবলীগের সদস্য এহতেশাম হায়দার বাপ্পীকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড, ছাত্রলীগকর্মী মো. জুয়েল, সজীব ও মিরাজকে এক বছর করে এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, ছাত্রলীগকর্মী মানিক, রকি ও রুপমকে এক মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ রায়ে দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক আপিল করলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, ছাত্রলীগ নেতা রকি ও রুপমের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রাসেল মাহমুদ মান্না বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
এদিকে, রায়ের প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের ফায়ার সার্ভিস এলাকা, ঝুমুর সিনেমা হল, মাদাম জিরো পয়েন্ট ও বাগবাড়ি এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।