কঠোর নিরাপত্তায় চলছে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব
পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার মধ্যে চলছে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে এবারের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার অন্তত আট হাজার সদস্য নিরাপত্তা দিচ্ছেন ইজতেমায় আসা লাখো মুসল্লিকে।
আজ শুক্রবার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব শুরু হয়েছে। আগামী রোববার শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
প্রথম দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েক হাজার বিদেশি ইজতেমা ময়দানে যোগ দিয়েছেন। আজ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ।
ইমান, আমল ও আখলাকের ওপর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে আজ ফজর নামাজের পর শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি ইবাদত আর বয়ান শোনার মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম দিন অতিবাহিত করছেন।
বয়ান শোনার পাশাপাশি ইসলামের আলোকে জীবন গঠনের বিভিন্ন দিক নিয়ে নিজেদের মধ্যে জোট বেঁধে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন মুসল্লিরা। প্রিয় নবীর আদর্শে জীবন গঠন ও দ্বীনের দাওয়াতের মধ্য দিয়ে আল্লাহকে খুশি করে পরকালের শান্তি পাওয়াই আগত মুসল্লিদের চাওয়া।
কোন খিত্তায় কারা
নজরদারির সুবিধার্থে ইজতেমা ময়দানকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। শেষ পর্বে ঢাকাসহ দেশের ১৭ জেলার মুসল্লিরা ২৬টি খিত্তায় অবস্থান নেন। এর মধ্যে ১ থেকে ৫ নম্বর ও ৭ নম্বর খিত্তায় ঢাকা, ৬ নম্বর খিত্তায় মেহেরপুর, ৮ নম্বর খিত্তায় লালমনিরহাট, ৯ নম্বর খিত্তায় রাজবাড়ী, ১০ নম্বর খিত্তায় দিনাজপুর, ১১ নম্বর খিত্তায় হবিগঞ্জ, ১২ ও ১৩ নম্বর খিত্তায় মুন্সীগঞ্জ, ১৪ থেকে ১৫ নম্বর খিত্তায় কিশোরগঞ্জ, ১৬ নম্বর খিত্তায় কক্সবাজার, ১৭ ও ১৮ নম্বর খিত্তায় নোয়াখালী, ১৯ নম্বর খিত্তায় বাগেরহাট, ২০ নম্বর খিত্তায় চাঁদপুর, ২১ ও ২২ নম্বর খিত্তায় পাবনা, ২৩ নম্বর খিত্তায় নওগাঁ, ২৪ নম্বর খিত্তায় কুষ্টিয়া, ২৫ নম্বর খিত্তায় বরগুনা ও ২৬ নম্বর খিত্তায় আছে বরিশাল জেলা।
ইজতেমা আয়োজক এক মুরব্বি জানান, তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের বিভিন্ন আলেম ইমান, আমল, আখলাক ও কালেমা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন। মূল বয়ান উর্দুতে হলেও বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেয় বিভিন্ন ভাষাভাষীর মুসল্লির জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ওই বয়ান বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি, ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
প্রতিবছর তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ১৬০ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ইজতেমা মাঠের প্রস্তুতির প্রায় সব কাজই করা হয় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এবং আলাদা আলাদা গ্রুপের মাধ্যমে।
বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলিগ জামাতের অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইজতেমায় অংশ নেন।