হরতালে পুলিশের ভূমিকায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পবিরোধী হরতালে রাজধানীতে পুলিশের ভূমিকায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, হরতাল আহ্বানকারীদের পুলিশ যেভাবে বাধা দিয়েছে, তা করা তাদের উচিত হয়নি।
আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়ায় ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। এর আগে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, আবেগের বশবর্তী হয়ে পরিবেশবাদীরা রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। ঢাকার ১৭ কিলোমিটার দূরে গজারিয়ার বিদ্যুৎ প্রকল্প ঢাকার কোনো ক্ষতি না করলে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ৭০ কিলোমিটার দূরের সুন্দরবনের কীভাবে ক্ষতি করবে, সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ না গেলে ওই এলাকার উন্নয়ন হবে না। ফলে ওই এলাকার জনগণ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হবে। ওই এলাকায় যাতে বিদ্যুৎ না যায়, ওই এলাকায় যাতে উন্নয়ন না হয়, সে জন্য ষড়যন্ত্র করে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করার পাঁয়তারা চলছে। এর পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে।
‘যেভাবে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে পদ্মা সেতু প্রকল্প বন্ধ করার পাঁয়তারা চলছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আমাদের নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করছেন। একটি মহল সব সময়ই ষড়যন্ত্র করছে। তারা চায় না জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক’, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র উদ্বোধন শেষে হাটগাঙ্গোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। রাজশাহী জেলা জজ আদালতের পিপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইবরাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অনিল চন্দ্র সরকার, বাগমারা উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু।