শেরপুরে ‘লাঠি’র আঘাতে শিক্ষক নিহত
শেরপুর জেলা সদরের জমি-সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন একজন। তাঁর নাম আবদুল জলিল। তিনি দশকাহনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন।
গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে জেলা সদরের চরশেরপুর ইউনিয়নে ওই সংঘর্ষ ঘটে। রাত ৯টার দিকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয়।
ডা. মামুন বলেন, মাথায় আঘাতজনিত আবদুল জলিলের মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় শিক্ষকের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেছিল প্রতিপক্ষের লোকজন।
সংঘর্ষে আহত অন্য তিনজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতের পরিবারের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চরশেরপুর ইউনিয়নের দশকাহনিয়ার গ্রামের আবদুল জলিল ও লুৎফর রহমানের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার দুপুরে ক্ষেতে আল নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল জলিলসহ চারজন আহত হন। পরে রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল জলিল মারা যান।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, জমি-সংক্রান্ত বিরোধে একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।