সুরমাপাড়ের ইজতেমায় লাখো মুসল্লির সমাগম

সুনামগঞ্জে শুরু হয়েছে তিন দিনের আঞ্চলিক ইজতেমা। শহরতলির আবদুল জহুর সেতুর পাশে সুরমা নদীর পাড়ে খোলা মাঠে আয়োজিত এ ইজতেমা ময়দানে জড়ো হয়েছেন লাখো মুসল্লি। পৌঁছেছেন বিদেশি অতিথিরাও।
এবারের ইজতেমায় ১২ লাখ মুসল্লির জমায়েতের জন্য আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশ থেকে চার হাজার ৩৮৮টি তাবলিগ জামাত অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া ইজতেমায় জেলার সব উপজেলার জন্য আলাদা আলাদা ‘খিত্তা’ করা হয়েছে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তিন দিনের এ ইজতেমায় জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইজতেমা শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে থেকেই পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। প্রতিদিন দুই শিফটে ৫০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। সেইসঙ্গে টহল দেবেন র্যাব সদস্যরাও। এ ছাড়া ইজতেমা ময়দানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর নামাজ শেষে মাওলানা আবদুল মতিনের বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। তিন দিনের ইজতেমায় দেশের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম ও বিদেশি মেহমানরা বয়ান করবেন। শনিবার দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার সমাপ্তি হবে।
ইজতেমার আয়োজক কমিটির প্রধান মাওলানা আনোয়ার হোসাইন জানান, এ বছর ১২ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির জন্য ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ মোট চার হাজার ৩৮৮টি জামাতে ১২ লাখের বেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। ইজতেমায় মুসল্লিদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগিতার পাশাপাশি ইজতেমায় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী কাজ করছেন।
এদিকে ইজতেমা আয়োজনের বিষয়ে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান এ ইজতেমায় আসবেন। আর মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে ইবাদত করতে পারেন, সে লক্ষ্যে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। বিদেশি মেহমানদের জন্যও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।’