জিএসপির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকতে হবে : বার্নিকাট
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে হলেও জিএসপির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকতে হবে। কিন্তু রানা প্লাজার ঘটনায় প্রমাণিত হয় শ্রমিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা হারিয়েছে।
শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা অ্যাপারেল সামিটের দ্বিতীয় অধিবেশনে ব্যবসায়িক নীতি ও পরিবেশবিষয়ক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
বার্নিকাট বলেন, আরো বেশিসংখ্যক ও বড় ক্রেতাদের আনতে এবং তাদের ধরে রাখতে শ্রমিক অধিকার ও নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে হলেও জিএসপির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকতে হবে। আপনারা একে চাপ বলতে পারেন, আমরা বলি যোগ্যতা। নিজেদের চীন ভিয়েতনামের সঙ্গে তুলনা না করে আন্তর্জাতিক মান অর্জনে লক্ষ্য রাখা উচিত।’
বার্নিকাট আরো বলেন, ‘কারখানায় অসন্তোষ, ধর্মঘট থাকবে। তবে তা সমাধানের উপায় থাকতে হবে। এ জন্য ট্রেড ইউনিয়ন থাকতেই হবে সেটা আমরা কখনোই বলিনি।’ রপ্তানি খাতের সব কারখানায় কর্মপরিবেশ উন্নয়নের তাগিদ দেন তিনি।
আশুলিয়ার সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের পর শ্রমিক ছাঁটাই, গ্রেপ্তার ও মামলার ঘটনায় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাক খাতের সুনাম আবারও ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।
এদিকে, আলোচনায় বাংলাদেশকে জিএসপি ও শুল্কমুক্ত সুবিধা না দেওয়ায় আবারও যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রেই বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি হয়, তবু সেখানে জিএসপি বা শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই যেখানে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ খুব কম, সেখানে বাংলাদেশে ট্রেড ইউনিয়নের প্রসঙ্গকে কেন বারবার সামনে আনা হয়? শুধু বাংলাদেশ কেন আলোচনায়, কেন চীন, ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তান নয়?
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, শ্রমিক ও কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গার্মেন্টস মালিকদের বাড়তি বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়ছে, কিন্তু ক্রেতা দেশগুলো পণ্য কিনতে আগের চেয়ে কম দাম দিচ্ছে।