পরিবহন ধর্মঘট : আরেক মামলায় ৭ শ্রমিক রিমান্ডে
দেশজুড়ে পরিবহন ধর্মঘটের জেরে মহাসড়কে যান চলাচলে বাধা দেওয়ার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা একটি মামলায় সাত শ্রমিকের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২ মার্চ ওই সাতজনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) দারুস সালাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান। ওই দিন মামলার নথি না থাকায় বিচারক আজ রোববার রিমান্ড শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে যান চলাচলে বাধা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা নাশকতার মামলায় ওই সাতজনকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে গতকাল তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। আজ রিমান্ড শুনানি উপলক্ষে আবার তাঁদের সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়।
ওই শ্রমিকরা হলেন—রফিকুল ইসলাম, হাসানুর, রবিন, মো. সোহেল, ফজলে রাব্বী, আলামিন ও এনামুল হক।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ, এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার মামলায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা ও পরে যশোর বিভাগে ধর্মঘট শুরু করেন শ্রমিকরা।
এ ধর্মঘট চলাকালেই সাভারের ট্রাকচালক মীর হোসেন মিরুকে একটি হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তারপর কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই গত মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
ধর্মঘট চলাকালে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের গাড়ি ছাড়াও কিছু যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া শ্রমিকরা একটি পুলিশ বক্স ও রেকারে আগুন দেন।