স্ত্রী হত্যা মামলায় শ্রমিকের মৃত্যুদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ ড. আবুল কাশেম এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি সুমন ওরফে লিটন (৩০) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া সুমন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী রাশেদা বেগম মুক্তা (২৩) কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা গ্রামের মৃত তাজুল হকের মেয়ে।
লক্ষ্মীপুর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন এ তথ্য জানান।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে ঢাকার পোশাক শ্রমিক রাশেদার সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালের শেষের দিকে তাঁরা চার বছরের মেয়ে সুবর্ণাকে নিয়ে কমলনগরের বাড়িতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে গিয়ে সুমন বাড়ির পাশের ইটভাটায় কাজ নেন। পরে যৌতুকের দাবিসহ নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ দেখা দেয়। স্ত্রীকে মারধর করায় স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিস হয়।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ ভোরে ঘরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ধস্তাধস্তির আওয়াজ শুনে ঘুম থেকে উঠে যান পাশের রুমে থাকা রাশেদার বোন পেয়ারা বেগম। এ সময় লিটন ঘর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে পরিবারের লোকজন রাশেদার গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এ ঘটনার পরের দিন নিহতের ভাই আবদুর জাহের বাদী হয়ে কমলনগর থানায় সুমনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে আজ সুমনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত।