শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষিকাকে রড দিয়ে পেটাল বখাটে
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে এক সহকারী শিক্ষিকাকে রড দিয়ে পিটিয়েছে এক বখাটে। প্রাণে বাঁচতে ওই শিক্ষিকা শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে বিদ্যালয়ের মাঠে গেলে সেখানেও তাঁকে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে তাঁর দুই হাত ও এক পা ভেঙে যায় বলে এক স্বজন জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার নাইখাইন ইউনিয়নের পূর্ব ডেঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
ওই শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগে পূর্ব ডেঙ্গাপাড়া গ্রামের আহসান উল্লাহ টুটুলকে আটক করেছে পুলিশ। শিক্ষিকাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডেঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিসফা সুলতানা লিজাকে (২৩) অনেক দিন ধরেই উত্ত্যক্ত করে আসছিল টুটুল। আজ সকালে সর্বশেষ প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় লিজাকে রড দিয়ে শ্রেণিকক্ষেই বেধড়ক পেটায় টুটুল। এ সময় টুটুলের হাত থেকে বাঁচতে লিজা শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে মাঠে গেলে সেখানেও পিটিয়ে তাঁর দুই হাত ও এক পা ভেঙে দেয় টুটুল। পরে শিক্ষিকার চিৎকার শুনে স্কুলের অন্য শিক্ষক ও স্থানীয়রা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত শিক্ষকের চাচাতো ভাই আসফাক উল্লাহ জানান, লিজা প্রতিদিনের মতো আজ স্কুলে গেলে টুটুল রড দিয়ে তাঁকে বেধড়ক পেটায়। পিটুনিতে লিজার দুই হাত ও এক পা ভেঙে গেছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন তিনি। লিজা এখন কারো সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না বলেও জানান আসফাক।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন লিজার বাবা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূর মোহাম্মদ।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেয়ামত উল্লাহ জানান, পুলিশের হাতে আটক টুটুল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করে এখন বেকার।