দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই উন্নয়ন হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

দেশে গণতন্ত্র থাকার কারণেই উন্নয়ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে বারবার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আলোচনা সভায় সূচনা বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান হবে না। তথ্য সংগ্রহ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করুন।’ দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে বারবার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পালন করব। ২০২০ সাল জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আমরা উদযাপন করব। জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব, তাঁর জন্মদিনে এটাই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। আর ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ। বাংলাদেশে কোনো দরিদ্র থাকবে না, কোনো মানুষ গৃহহারা থাকবে না, কোনো মানুষ রোগে-শোকে কষ্ট পাবে না, সবাই তাদের জীবনের মৌলিক অধিকারগুলো ভোগ করতে পারবে।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রশ্নে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি সন্ত্রাসবাদের স্থান হবে না। যে যেখানে আছেন, সেখানেই তাদেরকে সেভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে, কারো সন্তান যেন কোনোভাবে জঙ্গিবাদের পথে না যায়। কারো এলাকায় কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী রয়েছে কি না, এ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর কথা বলেন তিনি।
সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোমেন আমু ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মাওলানা খন্দকার গোলাম মওলা নকশবন্দি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও সাদেক খান বক্তব্য দেন।
সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং সহ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সভা পরিচালনা করেন। সভায় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্যসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধানমন্ত্রী ১৯৬৬ সালে ছয় দফা দেওয়ার পর কারাগারে থাকার সময় ডায়েরি আকারে লেখা বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ শীর্ষক আরেকটি আত্মজীবনীগ্রন্থ প্রকাশের কথা উল্লেখ করে বলেন, বইটির নাম দিয়েছেন শেখ রেহানা।