কুমিল্লা সিটি নির্বাচন নতুন কমিশনের জন্য মহাপরীক্ষা
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নতুন কমিশনের জন্য এক মহাপরীক্ষা। এই পরীক্ষায় আমরা উত্তীর্ণ হতে চাই। কিন্তু তার আগে যাঁরা নির্বাচন করবেন তাঁদেরকেও এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে আমাদের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে হবে। কারণ শুধু কুমিল্লাবাসী নয়, সমস্ত জাতিই এ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।’
কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে আজ শনিবার দুপুরে মতবিনিময় করেন তিন কমিশনার। উপস্থিত অন্য দুই কমিশনার ছিলেন কবিতা খানম ও শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম। সভায় মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো ধরনের শিথিলতা বরদাশত করা হবে না। কেউ যদি গাফিলতি করেন কিংবা নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করেন, তাহলে ১৯৯১ সালের বিশেষ বিধান আইন প্রয়োগ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করব না। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত, প্রশ্নবিদ্ধ করতে যাঁরাই চেষ্টা করুন না কেন, তাঁদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেব না।’
মতবিনিময় সভায় চার মেয়র প্রার্থী, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচন সংক্রান্ত তাঁদের মতামত নির্বাচন কমিশনারদের কাছে তুলে ধরেন। একই সময় প্রার্থীরা কমিশনের সদস্যদের কাছে তাঁদের বিভিন্ন অভিযোগও করেন। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মেয়র পদপ্রার্থী নির্বাচনের দিন নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকানোসহ প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান।
সভায় বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আমি চাই সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। সেই সঙ্গে আমার চাওয়া কোনো কেন্দ্রে যেন বহিরাগত কেউ না থাকে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়া হোক। তারা যেন সকালে ভোট শুরু হওয়া থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোকে পর্যবেক্ষণে রাখেন।’
এ সময় আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, ‘ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ঘর থেকে বের হয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, ভোট দেওয়া শেষে যেন তাঁরা নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারেন কমিশন যেন সেই ব্যবস্থা করেন। আর বহিরাগতরা যেন ভোটকেন্দ্রের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে না পারে সে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন লক্ষ রাখে।’