ট্যানারির মালিকদের জরিমানা স্থগিত
রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি না সরানোর দায়ে ১৫৪টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা হিসেবে ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ব্যবসায়ীদের করা আবেদনের শুনানি শেষে আজ রোববার চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এবং ট্যানারির মালিকদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।
গত ২ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় অবস্থিত ১৫৪টি ট্যানারি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে এই অর্থ জমা না দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৫৪ ট্যানারির মালিককে হাজারীবাগ এলাকায় থাকতে হলে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছিল। গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ জমা দিলেও এর পরবর্তী সময়ে তারা ধারাবাহিকতা রাখেনি। বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তলব করেন হাইকোর্ট।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শিল্পসচিব হাজির হলে আদালত যেসব প্রতিষ্ঠানের মালিক টাকা দিচ্ছেন না, তাঁদের তালিকা দিতে বলেন। আদালতে তালিকা জমা দেওয়া হয়। আজ আদালত ১৫৪টি প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে বলেন। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ট্যানারি মালিকরা আবেদন করলে আজ চেম্বার বিচারপতি এ আদেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ১৮ জুলাই আপিল বিভাগ ১৫৪টি প্রতিষ্ঠানকে সাভারের হেমায়েতপুরে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে বলে রায়ে বলা হয়।